শুক্রবার, ২৯ মে, ২০১৫

দাঁতে ব্যথায় ঘরোয়া সমাধান

আচানক দাঁত ব্যথা বিরল কোনো ঘটনা নয়। অন্যান্য অসুখের মতো দাঁতের সমস্যা ধীরে ধীরে দানা বাধে। হুট করে কোনো একদিন বিকট ব্যথায় বুঝতে পারেন কী ক্ষতিই না হলো! আবার ওই সময়ে চাইলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাই চাই আপাতত কোনো সমাধান।
সে সব ঘরোয়া সমাধান আপনার রান্নাঘরে বা বারান্দার টবে থাকতে পারে। তেমন কিছু সমাধান জেনে নিন—
লবণ পানি : এক গ্লাস গরম পানিতে বেশি করে লবণ গুলে কুলকুচি করুন যতক্ষণ সম্ভব। জীবাণুর কারণে দাঁতের ব্যথা হলে তা দূর হবে। মাড়িতে রক্ত চলাচল বাড়ার কারণে সাময়িকভাবে ব্যাথা কমে আসে।
দারুচিনি : এটি ব্যাকটোরিয়া প্রতিরোধী উপাদান হিসেবে বেশ পরিচিত। আরও আছে ব্যথা কমানোর গুণ। এটি দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। দাঁত ব্যথা করলে দারুচিনির ছোট একটি টুকরো হালকা চিবিয়ে ব্যথা করা অংশের উপর রাখুন| দারুচিনি থেকে বেরুনো রস কিছুক্ষণ রেখে গিলে ফেলুন|
আদা : যে দাঁতে ব্যথা করছে সে দাঁত দিয়ে ছোট এক টুকরো আদা চিবাতে থাকুন। যদি বেশি ব্যথা লাগে তাহলে অন্য পাশের দাঁত দিয়ে চিবিয়ে ওই আক্রান্ত দাঁতের উপর জিহ্বা দিয়ে চেপে রাখুন।
রসুন : রসুনে প্রচুর পরিমাণে সালফার আছে। যা ব্যাকটোরিয়া প্রতিরোধী এবং দাঁতের ব্যথা কমায়। রসুন অল্প একটু থেতলিয়ে ব্যথার স্থানে রাখুন|
লবঙ্গ : এটি দাঁতের ইনফেকশন ও ব্যথা কমে যায়| ব্যথার স্থানে একটা লবঙ্গ রাখুন| ব্যথা না কমা পর্যন্ত রাখুন| দুই-এক ফোঁটা লবঙ্গের তেল ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া লবঙ্গ চূর্ণের সঙ্গে পানি বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়েও লাগাতে পারেন।
শসা : এতে আছে ভিটামিন বি-৬, পটাসিয়াম, থাইমাইনসহ অনেক পুষ্টি উপাদান। শসা একটি টুকরো দিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্যথার স্থানে রাখুন। ভাল সমাধান মিলবে।
পেঁয়াজ : টাটকা ও রসালো এক টুকরো পেঁয়াজ আক্রান্ত দাঁতের উপর চেপে রাখুন।
মরিচ : শুকনো মরিচ গুঁড়ার পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগান। মরিচ দাঁতের ব্যথাকে অবশ করে দেবে। গোলমরিচের গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া মরিচের সঙ্গে লবণের ব্যবহার করা যেতে পারে।
পেয়ারা পাতা : কয়েকটি পেয়ারা পাতা নিন। তারপর এক গ্লাস পানিতে সিদ্ধ করুন। এবার ওই পানি দিয়ে কুলকুচি করুন।
পুদিনা চা : এক চামচ পুদিনা চা নিন। এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এ পানি নিয়ে কুলকুচি করুন।
এ ছাড়া বাজারে এমন কিছু টুথপেস্ট আছে যা দ্রুত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এমন কিছুর সাহায্য নিন।

রবিবার, ২৪ মে, ২০১৫

কোমল পানীয় আসক্তি দূর করুন সহজ কিছু কৌশলে

কোক বা পেপসি জাতীয় পানীয় মাঝে মাঝে পান করেন প্রায় সবাই। কিন্তু কোমল পানীয় পান না করে থাকতে পারেন না যারা, তাদের জন্য রইলো এই আসক্তি দূর করার কিছু সহজ টিপস।
নিয়মিত কোমল পানীয় পান করাটাকে নির্দোষ মনে করে থাকেন অনেকেই। কিন্তু কোলা পান করা ছাড়া একটা দিনও পার করতে পারেন না যারা, তাদের এই ব্যাপারে একটু সাবধান থাকা উচিৎ। কোলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি, যা নিয়মিত পান করার ফলে দেখা দিতে পারে ওবেসিটি এমনকি ডায়াবেটিসের মতো জটিলতা। দাঁত এবং হাড়ের ক্ষতিও করে থাকে এগুলো। ডায়েট কোলাও এর ব্যতিক্রম নয়। সবদিক বিবেচনা করে কোমল পানীয় পান বাদ দেওয়া বা কমিয়ে আনাটা অনেকের জন্যই হতে পারে স্বাস্থ্যকর। কিন্তু এ কাজটি করা যদি খুব কঠিন মনে হয় আপনার কাছে, তবে কয়েকটি কৌশল রইলো আপনারই জন্য।

১) ধীরে ধীরে কমিয়ে আনুন পানের পরিমাণ

সাধারণত যে পরিমাণে বা যত ঘন ঘন কোমল পানীয় পান করেন আপনি, সে পরিমাণ কমিয়ে আনুন। খুব ঘন ঘন কোলা পান করাটাও এড়িয়ে চলুন। এর ফলে একেবারে ছাড়তে না পারলেও আপনার কোমল পানীয় পানের পরিমাণ কমে আসবে।

২) পানি মিশিয়ে পান করুন

অর্ধেক পানি, অর্ধেক কোলা মিশিয়ে পান করুন। এর ফলে কোলার মিষ্টি ভাবটা কমে আসবে। একটা সময়ে এই মিশ্রণে আপনি অভ্যস্ত হয়ে যাবেন এবং তখন আর কোমল পানীয় পান করতে এতোটা ইচ্ছে করবে না আপনার।

৩) ক্যালোরির হিসাব রাখুন

প্রতিদিন কতো ক্যালোরির খাবার খাচ্ছেন তার হিসেব রাখুন। আপনি যখন দেখবেন কোমল পানীয়র ক্যালোরি এতো বেশি, তখন নিজে থেকেই তা পান করার ইচ্ছে অনেকটা কমে আসবে। শুধু তাই নয়, ব্যায়ামের মাধ্যমে আসলে এই ক্যালোরির কতটা ক্ষয় হচ্ছে তার হিসেব রাখলেও কোমল পানীয় পানের ইচ্ছে হবে না আপনার।

৪) পান করুন ঠাণ্ডা চা

কোমল পানীয়র বদলে দুধ-চিনি ছাড়া হালকা চা পান করা শুরু করুন। এতে যেমন ক্যালোরির চিন্ত করতে হবে না, তেমনি চায়ের বিভিন্ন উপাদান আপনার স্বাস্থ্যের উপকারে আসবে। প্রথম প্রথম এভাবে চা পান করতে গেলে স্বাদটা বাজে লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে মিশিয়ে নিতে পারেন লেবু, মধু, অল্প চিনি বা সুইটনার।

৫) আগে এক গ্লাস পানি পান করুন

বেশিরভাগই ক্ষেত্রেই দেখা যায় আমরা কোমল পানীয় পান করছি শুধুমাত্র তৃষ্ণা মেটাতে। সেক্ষেত্রে পানি পান করাটাই যথেষ্ট। কোমল পানীয় পান করার ইচ্ছে হলে আগে এক গ্লাস পানি পান করে নিন। দেখবেন কোমল পানীয়ের প্রতি খুব একটা আসক্তি আর থাকছে না।

৬) পানির সাথে মিশিয়ে নিন অন্য কিছু

শুধু পানি পান করতে ইচ্ছে করে না অনেকের। এক্ষেত্রে পানির মাঝে নিয়ে আসুন নতুনত্ব। পানির জগ অথবা বোতলে ফেলে দিন কয়েক স্লাইস লেবু, কমলা অথবা শসা। ফ্রোজেন স্ট্রবেরি, পুদিনা পাতা বা ধনেপাতাও মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে কোলার প্রতি আসক্তি কমে আসবে।

৭) এড়িয়ে চলুন বিশেষ কিছু পরিস্থিতি

অনেক সময়ে দেখা যায় বিশেষ কিছু পরিস্থতিতে কোমল পানীয় পান করতে ইচ্ছে করে আমাদের। ধরুন ফাস্টফুড খেতে গিয়ে কোমল পানীয় পান করতে ইচ্ছে করে আপনার, অথবা অফিসে বসে বিকেল বেলায় পান করতে ইচ্ছে করে, বা বিশেষ কোনো দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় কোমল পানীয় পান করেন আপনি। এসব ক্ষেত্রে সচেতন থাকুন। ফাস্টফুড খেতে যাবার সময়ে পানি সাথে করে নিয়ে যান বা ঠাণ্ডা পানি অর্ডার করুন কোলার বদলে। অফিসেও সম্ভব হলে পানি বা চা পান করুন। এড়িয়ে চলুন কোমল পানীয়র দোকানটি।

৮) দুই সপ্তাহের জন্য একেবারে বাদ দিন

ধীরে ধীরে কোমল পানীয় বাদ দেওয়াটা অনেকের জন্য কাজ করলেও কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে তা কাজ নাও করতে পারে। তারা দুই সপ্তাহের জন্য একেবারে বাদ দিয়ে দিন কোলা পান। এ সময়ে খুব কোলা পান করতে ইচ্ছে হলে নিজেকে বলুন এই দুই সপ্তাহ পরেইতো আবার পান করতে পারবেন। কিন্তু দেখবেন দুই সপ্তাহ পার হতে হতে আপনার আসক্তি অনেক কমে যাবে।



শনিবার, ২৩ মে, ২০১৫

যেসব খাবার মানসিক চাপ দূর করে



লাইফ স্টাইল ডেস্ক: আমাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষই মানসিক চাপে ভোগেন। কর্মব্যস্ততা, হতাশা, প্রেমে ব্যর্থতা, প্রচণ্ড কাজের চাপ এ ছাড়া নানাবিধ কারণে মানসিক চাপ সমস্যায় বহু মানুষই বিপর্যস্ত। কিন্তু কিছু খাবার আছে যেগুলো আপনর মানসিক চাপ কমাতে পালন করবে সহায়ক ভূমিকা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

১. দই:
গ্রীষ্মকালে স্বস্তি দিতে পারে দই। দই হালকা ও হজমে সহায়ক। এটি মস্তিষ্কের চাপ কমাতে ভূমিকা রাখা কিছু হরমোন নিঃস্বরণ উৎসাহিত করে।

২. ডার্ক চকলেট:
স্ট্রেস হরমোন কমাতে ডার্ক চকোলেট কার্যকর। তাই ডার্ক চকলেট খেলে তা বায়ো-কেমিক্যাল স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। আদতে এতে মানসিক চাপ কমে।

৩. লেবু বা লেবু জাতীয় ফল:
লেবু বা লেবু জাতীয় ফলে রয়েছে বেশ কিছু উপাদান যা মানসিক চাপ কমাতে ভূমিকা রাখে।

৪. কাঠ বাদাম:
অ্যামন্ড বা কাঠ বাদাম মানসিক চাপ কমাতে সহায়্ক। এতে রয়েছে ভিটামিন বি২, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক। এগুলো দেহে সেরোটোনিন হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়, যা মানসিক চাপ কমায় এবং মন ভালো করে।

৫. ভেষজ চা:
কালো চা বা হার্বাল চা দেহের ক্যালরির মাত্রা সঠিক রাখতে সহায়ক। এটি মানসিক অবস্থা উন্নতিতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে ক্যামোমিল চা, জেসমিন চা, তুলসি চা খুবই কার্যকর।

৬. মাছ:
মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। এছাড়া ভিটামিন বি বিশেষ করে বি৬ ও বি১২ রয়েছে এতে, যা মানুষের মানসিক চাপ কমায় সুখ বাড়ায়।

৭. ব্রুকোলি:
ফুলকপির মতো একধরনের সবুজ সবজি ব্রুকোলি। এতে মানসিক চাপ কমানোর কিছু উপাদান রয়েছে।

৮. রসুন:
রসুনে রয়েছে মানসিক চাপ ও টেনশন কমানোর উপাদান। রসুন নানাভাবে খাওয়া যায়। তরকারিতে মসলা হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হয়। আপনার খাবারে যদি রসুন না থাকে তাহলে রসুনের আচারও খেতে পারেন।

বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০১৫

প্রেম না করার কিছু উপকারিতা


 আপনার আশে পাশের সবাই প্রেম করছে। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরেও এখনও একটা মনের মানুষ জোটাতে পারলেন না আপনি। আর এই নিয়ে আপনার আফসোসের শেষ নেই। আপনি যদি এই দলের একজন হয়ে থাকেন যে কিনা এখনো মনের মানুষটির খোঁজ পাননি তাহলে আফসোস না করে নিজেকে এখন থেকে ভাগ্যবান ভাবতে থাকুন!

অবাক হলেও সত্যি, যারা প্রেমের সম্পর্কে নেই তাদের অনেকেই স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে বেশ ভালো থাকেন। আর এর পেছনে নানা রকম কারণও আছে। আসুন জেনে নেয়া যাক একা থাকার কিছু স্বাস্থ্য উপকারীতা সম্পর্কে।

# রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে
আপনি যদি এখনো প্রেমের সম্পর্কে না গিয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সুখবর হলো একা থাকলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভাবছেন কেন? কারণ হলো প্রেম না করলে আপনাকে অহেতুক নানা বিষয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়না।

আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা কিভাবে সময় দেবেন, কিভাবে মাসের শেষে নিজের পকেট সামলাবেন, প্রেমিক/প্রেমিকার রাগ কিভাবে ভাঙাবেন ইত্যাদি নিয়ে অহেতুক দুশ্চিন্তা করেন না। আর নিজের রক্তচাপ শুধু শুধু বাড়বেনা।

# হৃৎপিন্ড ভালো থাকে
আপনি যদি একা হয়ে থাকেন তাহলে আপনার আশে পাশের প্রেমিক/প্রেমিকাদের কলহ দেখুন আর একা থাকার দুঃখ ভুলে যান। কারণ প্রতিনিয়ত ঝগড়াঝাটি, মানসিক অশান্তি মানুষের হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।

যা পরবর্তীতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু একা থাকলে অধিকাংশ সময়েই এই ধরনের ঝামেলা থাকেনা। ফলে হৃৎপিন্ড ভালো থাকে। তবে দীর্ঘমেয়াদী একাকিত্বও হৃৎপিন্ডের জন্য ক্ষতিকর।

# ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে
ইদানিং প্রেম করা মানেই ফাস্ট ফুডে সময় কাটানো। প্রেমিক প্রেমিকারা সময় কাটানোর জন্য বিভিন্ন খাবারের দোকানে, পার্কে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকে। আর তাই তাদের ওজনও চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আবার অনেকেই প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে হাটার বদলে রিকশায় চড়তে বেশি পছন্দ করে।

ফলে একা থাকলে যেই পথটা হয়তো হেঁটেই যাওয়া হতো দুজন মিলে সেটা না হেঁটে রিকশাতেই ঘুরে বেড়ানো হয়। আর তাই অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া আর ব্যায়ামের অভাবে অনেকেরই ওজন বেড়ে যায়। একা থাকলে এই ঝামেলায় পড়তে হবে না আপনাকে।

# মস্তিষ্ক ভালো থাকে
সম্পর্কের বেড়াজালেই আটকে গেলেই নানান রকম অশান্তি আর মানসিক চাপ চেপে বসে আপনার মাথায়। অতিরিক্ত মানসিক চাপ মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। বরং একা থাকাই মস্তিষ্কের জন্য তুলনামূলক ভাবে ভালো। কারণ একা থাকলে নিজের ইচ্ছের রাজা হয়ে যখন খুশি যা ইচ্ছে করা যায়। আর তাই মন থাকে ফুরফুরে।

সোমবার, ১৮ মে, ২০১৫

সুগন্ধি মাখতে গিয়ে




(Life Style Noakhali) লাইফস্টাইল ডেস্ক॥

গরম এলেই ফারফিউমের বদলে কদর বাড়ে বডি স্প্রের। বিশেষ করে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে গা বাঁচাতে এরচে' কাছের বন্ধু আর কি-ই বা আছে? এসময়ে তাই বডি স্প্রের চাহিদাটাও একটু বেশি। তবে যেমন তেমন ভাবে ব্যবহার না করে একটু কৌশলি হলে বডি স্প্রে থেকে শতভাগ কার্যকারিতা আদায় করে নিতে পারবেন। জেনে নিন কিছু খুঁটিনাটি-
ব্র্যান্ড ভালো হওয়া চাই
বডি স্প্রে ব্যবহারের সময়ে ভাল ব্র্যান্ড দেখে ব্যবহার করা উচিৎ। তা না হলে যে কোনে ব্র্যান্ডের বডি স্প্রের সুগন্ধি বেশিক্ষণ তো থাকবেই না পাশাপাশি তা ত্বকের ক্ষতি করবে। তাই সুগন্ধি দীর্ঘক্ষণ থাকে এমন একটি ব্র্যান্ড বাছাই করুন। এক্ষেত্রে দাম নয় ভরসা রাখুন নামের ওপরে।
আগে সাফসুরত
গোসল সেরে তবেই বডি স্প্রে মাখুন। এতে কার্যকারিতার শতভাত উশুল হবে। 
শরীর জুড়ে সুগন্ধী
বডি স্প্রের সুগন্ধি দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখতে দেহের বিভিন্ন অংশে ব্যবহার করুন। শুধু আন্ডার আর্মসে ব্যবহার করলে ঘামের গন্ধ বিলীন হয়ে যেতে পারে। এজন্য যে অংশগুলো ঘামে না যেমন কানের পেছনে, হাতের কব্জিতে, গলায় ইত্যাদি জায়গায় ব্যবহারে তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হবে। আর মুখ, চোখ বা অন্য স্পর্শকাতর জায়গায় যাতে স্প্রে না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখুন। নইলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
কাপড়ে নয় ত্বকে
সাধারণত কাপড় পরার আগেই বডি স্প্রে ব্যবহার করা উচিত এবং সেটা সরাসরি ত্বকে। এক্ষেত্রে স্প্রে'র কন্টেইনার শরীর থেকে অন্তত ১০-১৫ সেন্টিমিটার দূরে রেখে স্প্রে বাটন প্রেস করুন। নইলে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। আর ভুলেও যদি কাপড়ের ওপর দিয়ে স্প্রে করেন তাহলে কাপড়ের দফারফা হতেও দেরি হবে না।
রয়েসয়ে পোশাক পরুন
বডি স্প্রে করার পরপরই কাপড় পরবেন না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন যেন স্প্রেটি সারা গায়ে ছড়িয়ে পড়ে।
ঘাম কম হলেই ভাল
অতিরিক্ত ঘামলেই বডি স্প্রের সুগন্ধিটি নষ্ট হয়ে যায় বা হারিয়ে যায়। এজন্য যতটা সম্ভব কম ঘামার চেষ্টা করুন। তাহলে সাধের বডি স্প্রের সুগন্ধি আরও দীর্ঘায়ু হবে।
ঘ্রাণে ঘ্রাণে মিল
যেই ব্র্যান্ডের বডি স্প্রেটি ব্যবহার করছেন একই ব্র্যান্ডের এবং একই ঘ্রাণযুক্ত অন্যান্য প্রসাধনী ব্যবহার করুন। এতে করে বডি স্প্রের সুগন্ধিটি দিনশেষে নিঃশেষ হয়ে গেলেও অন্য প্রসাধনের সুগন্ধি আপনাকে সতেজ রাখবে।
একবার নয় বারবার
আপনার বডি স্প্রে যদি একেবারেই কম সময় স্থায়ী হয়ে থাকে তাহলে এটিকে সবসময় অপনার সঙ্গেই রাখুন এবং একটু পরপর ব্যবহার করুন।